এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম – Advocate Sirajul Islam

এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পঞ্চগড়ের রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রাণপুরুষ, বর্ষীয়ান নেতা, মহান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের দক্ষ সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের ৬/ক সাব সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, পঞ্চগড়ের ৪ বারের নির্বাচিত এমপি, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি। উত্তর বঙ্গের বাঘ নাম পরিচিত এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত স্নেহভাজন ব্যক্তিত্ব, তিনি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ, আজীবন বিদ্রোহী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত সৈনিক। তিনি ৭৫ পরবর্তী পার্লামেন্টে খোন্দকার মোশতাক আহমদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী প্রথম এমপি।

মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬ নং (ক) সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। তিনি সাবেক ইপিআর-এর সহায়তায় দিনাজপুর জেলা শত্রুমুক্ত করেন। জোনাল এডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ত্রানকার্য পরিচালনা করেন এবং তেঁতুলিয়া ইয়ুথ ক্যাম্পের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের রিক্রুটিং, প্রশিক্ষণ, অস্ত্রের যোগান দেওয়া প্রভৃতি ক্ষেত্রেও অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সুসংঘটিত হয় এবং ট্রেনিং নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর, দালাল, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদরদের উপর গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধ জোরদার করে। এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও সুবেদার মেজর কাজিম উদ্দিন সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে ডিফেন্স, শরণার্থী পুনর্বাসন, রেশনিং ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের রিক্রুটিং-প্রশিক্ষণ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে যোগাযোগের অভয় আশ্রমে পরিণত হয় মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়া। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বয়ক এর দায়িত্ব পালন করেন।

এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ১৯৪৪ সালের ৯ জানুয়ারি বর্তমান পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের মহাজন পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ইমাজ উদ্দীন আহম্মেদ এবং মাতার নাম কবিজান নেছা।

সিরাজুল ইসলাম ১৯৬০ সালে পঞ্চগড় বিপি হাই স্কুল থেকে মেট্রিক, ১৯৬২ সালে দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে আইএ, ১৯৬৪ সালে একই কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন। পরবর্তীতে জনাব সিরাজুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন শাস্ত্রে এমএ ক্লাসে অধ্যায়ন করেন। এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সময়ে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

সিরাজুল ইসলাম ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালান। ছাত্র রাজনীতির যৌবনকালে বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পান। তিনি ১৯৫৬ সালে পঞ্চগড় থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৫৮ সালে দিনাজপুর জেলা সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক কারারুদ্ধ হন। ১৯৬২ সালে দিনাজপুর জেলা সংগ্রাম পরিষদের সহ-সম্পাদক ও আয়ুব বিরোধী অগণতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালনা করেন। ১৯৬৩ সালে দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক, একই সময়ই তিনি রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে ডাকসু প্রতিনিধি ও মিলনায়তন সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হবার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা পেশ করেন। এই সময় ছয় দফার পক্ষে জনগণ গঠনের জন্য বৃহত্তর দিনাজপুরে ছয় দফা সংক্রান্ত প্রথম লিফলেট নিয়ে আসেন সিরাজুল ইসলাম, দিনাজপুরের মুজাফফর হোসেন খান (মজু খান) ও দিনাজপুর সর্দারপাড়ার মকছেদুর রহমান। ১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার জন্য তহবিল সংগ্রহ ও আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।

জনাব সিরাজুল ইসলাম ১৯৬৮ সালের ঠাকুরগাঁও মহকুমা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯৬৯ সালে ঠাকুরগাঁও মহকুমা আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের জন্য ব্যাপক সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনার জন্য তিনি কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ঠাকুরগাঁও মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কালে জনাব সিরাজুল ইসলাম-এর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হয় ‘সাপ্তাহিক সংগ্রামী বাংলা’। এই পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন তরুণ সাংবাদিক মোঃ এমদাদুল হক।

এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে ৬নং সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা হিসেবে সমরযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। যুদ্ধকালীন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায়, ওই সময় তেঁতুলিয়া অঞ্চলটি পাক-হানাদার মুক্ত থাকে। তাঁর এই অনন্য ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধে পঞ্চগড়ের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। অঞ্চলটিকে নিয়ে ইতিহাসে বাক্য বিন্যাস হয়েছে মুক্তাঞ্চলের তীর্থভূমি পরবর্তীতে যে অঞ্চলটি বিশ্বের কাছে এই বিশেষণেই পরিচিতি হয়ে উঠে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহচর বীরসেনানী সিরাজুল ইসলাম স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬ সালে পঞ্চগড়ের সংসদীয় আসন এক (১) এবং সংসদীয় আসন দুই (২) থেকে পর পর ৪ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে ঠাকুরগাঁও মহকুমা রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান, ১৯৭৩ সালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৯৭৫ সালে ঠাকুরগাঁও মহকুমা বাকশালের সম্পাদক এবং ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটির সদস্য ছিলেন। জনাব সিরাজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জাতীয় সংসদের স্থায়ী সরকারি হিসাব সম্পাদক কমিটির সদস্য হন।

মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচীর ডাকে সাড়া দিয়ে তৎকালীন বাকশালের ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। যিনি আমৃত্যু পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকের হাতে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। ১৬ই আগস্ট এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম প্রমুখের নেতৃত্বে সংসদ সদস্যের একটি দল সংসদে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখলের জন্য সরাসরি মোশতাককে দায়ী করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলে দ্রুত সভা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পরবর্তী ১৯৮৭ সালে শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষণা করা হলে, এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ছিলেন মর্যাদাপূর্ণ রাজনৈতিক জীবনের অধিকারীঃ

(ক) উত্তর বঙ্গের মাটি ও মানুষের নেতা।
(খ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর।
(গ) বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি।
(ঘ) রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
(ঙ) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক।
(চ) ডাকসুর সহ-সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
(ছ) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৬/ক সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা।
(জ) ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের কনিষ্ঠতম সদস্য হিসেবে পঞ্চগড় থেকে নির্বাচিত।
(ঝ) মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
(ঞ) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ১ম আর্ন্তজাতিক সম্পাদক।
(ট) ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত।
(ঠ) পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি।
(ড) বঙ্গবন্ধুর ২য় বিপ্লব কর্মসূচীর/বাকশালের ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ সম্পাদক।
(ঢ) ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত।
(ণ) ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত।
(ত) জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন সহকর্মী।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্নেহভরে বলতেন আমার পাগলা সিরাজ; অদম্য সাহস ও মনোবল নিয়ে উত্তরবঙ্গ হতে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী দুঃসাহসিক বক্তব্য ও স্পষ্টবাদী বৈশিষ্ট্যের কারণে তিনি উত্তর বঙ্গের বাঘ বিশেষণে মানুষের মনে প্রাণে জায়গা করে নিয়েছিলেন। উচ্চ মার্গীয় একজন নেতা হওয়া সত্বেও তিনি ছিলেন সাদামাটা, যাঁর মাঝে কোন অহংকার ছিল না। পরোপকারী এই ব্যক্তি ছিলেন দলমতের উর্ধ্বে থাকা বিপদাগ্রস্ত মানুষদের পরম বন্ধু।

এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পারিবারিক জীবনে চার সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর মরহুমা সুরাইয়া ইসলাম মঞ্জু। তিন মেয়ে ইমতিয়াজ শারমিন বিন্টিশিয়া, সানজিদা মুস্তাকিম বিন্টিশিয়া, সাজিয়া আফরোজ বিন্টিশিয়া এবং এক ছেলে (মৃত) আবু নূর মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম বিন্টিশিয়া (সুবর্ণ)। সিরাজুল ইসলামের একমাত্র সহোদর নূরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড় ২ আসনের সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর সাবেক রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী।

উত্তর বঙ্গের জননেতা এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ১৯৯৭ সালে ২ জুন ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৩ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। তিনি মৃত্যুকালীন পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার কর্মসূচী বাস্তবায়নে নিয়োজিত ছিলেন। পঞ্চগড়ের ইতিহাসে এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম-এর স্মৃতি হৃদয়পটে চির অমলীন, চির সমুজ্জ্বল।

জাতির তথা উত্তরবঙ্গের এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে সম্মান জানিয়ে তাঁর নামে পঞ্চগড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম, সাবেক পুঠিমারী ছিটমহলের নাম পরিবর্তন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম নগর ও নবাবগঞ্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে।

…আরো পড়ুন পঞ্চগড়ের অন্যান্য স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ | মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়া


তথ্যসূত্রঃ আলী ছায়েদ | রহিম আব্দুর রহিম | বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা | আল ফরিদ 
Last updated: 12 April 2024

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn

এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম
(১৯৪৪-১৯৯৭)

  • সংসদ সদস্য
  • কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ১ম আর্ন্তজাতিক সম্পাদক
  • মুক্তিযুদ্ধ ৬/ক সেক্টরের বেসামরিক উপদেষ্টা
  • মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক
  • ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের কনিষ্ঠতম নির্বাচিত সদস্য
  • সহ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ
  • সহ-সম্পাদক, ডাকসু
  • সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী বিভাগীয় ছাত্রলীগ
  • বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি