মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই মুক্ত ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। ১৯৭১-এর ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মুক্ত ছিল পঞ্চগড় জেলা। ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা পঞ্চগড় দখল করে নেয়। এ দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে না পেরে উত্তরের দিকে পেছাতে থাকেন। শেষমেশ মুক্তিযোদ্ধারা আশ্রয় নেন মাগুরমারী এলাকায়। পাকিস্তানি সেনারা যাতে তেঁতুলিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য মুক্তিযোদ্ধারা পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের অমরখানা এলাকার চাওয়াই নদীর অমরখানা ব্রিজ ডিনামাইট দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় তেঁতুলিয়া পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আগ্রাসনমুক্ত থাকে, তেঁতুলিয়া হয়ে ওঠে স্বাধীন বাংলাদেশের মডেল। অমরখানার চাওয়াই নদীর অমরখানা ব্রিজের পাশে ১৯৭১ মুক্তাঞ্চল ফলক নামে স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থানা (বর্তমান উপজেলা) ছিল মুক্তাঞ্চল। সমগ্র বাংলাদেশের যে ৪টি থানা ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তাঞ্চল ছিল, তারমধ্যে তেঁতুলিয়া ছিল অন্যতম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তেঁতুলিয়া থানার পুরো এলাকা ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের বাইরে। ৯টি মাস থানার কোথাও কোনো পাকিস্তানি বাহিনী, রাজাকার, শান্তিবাহিনীর আক্রমণ হতে দেওয়া হয়নি। ফলে পাকিস্তান আমলের অখ্যাত ও অবহেলিত শহরটি হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আদর্শ থানা। তেঁতুলিয়া থেকেই তাঁরা পুরো অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। তেঁতুলিয়া স্কুল মাঠে মুক্তিফৌজের অস্থায়ী ক্যান্টনমেন্ট ছিল। সেখানে তাঁরা আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ নিতেন, পরিচালনা করতেন যুদ্ধের সকল কার্যক্রম। তেঁতুলিয়ার প্রশাসন মুজিবনগর সরকারের অধীন ছিল। তৎকালীন সার্কেল অফিসার (উন্নয়ন) মতিউর রহমান মুজিবনগর সরকারের প্রতি ১৯৭১ সালে আনুগত্য ও হলফনামা প্রদান করলে মুজিবনগর সরকার থেকে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয় স্থানীয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশাসন চালিয়ে যেতে।
মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়ার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সকল কার্যক্রম ছিল তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো কেন্দ্রিক। তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী। মুক্তিযুদ্ধে তেঁতুলিয়া ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের অধীনে; ৬/ক সাব সেক্টরের হেডকোয়ার্টার। ৬/ক সাব-সেক্টরের সিভিল অ্যাডভাইজার সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোয় বসে সভা ও ৬ নম্বর সেক্টরের যাবতীয় পরিকল্পনা করতেন মন্ত্রী-কর্মকর্তারা ও মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশের জন্মদাতা প্রবাসী সরকারের রাষ্ট্রপতি– সৈয়দ নজরুল ইসলাম সহ প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এই মুক্তাঞ্চলে এসে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানী, প্রবাসী সরকারের অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান, খন্দকার মোশতাক আহমেদ কাজ করেছেন। বিভিন্ন জনসভায় বক্তৃতাও করেছেন। ৬ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, ১৯৭১ সালের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তেজগাঁও বিমানবন্দরের রাডার স্কোয়াড্রন লিডার, বিমানবাহিনী থেকে পালিয়ে স্বাধীনতার সংগ্রামে যোগ দেওয়া মোহাম্মদ খাদেমুল বাশার (এম. কে. বাশার), বীর উত্তম; পরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান; তাঁর সেকেন্ডম্যান সাব সেক্টর কমান্ডার, তখন স্কোয়াড্রন লিডার সদরুদ্দীন মুহাম্মাদ হোসেন বীরপ্রতীক; পরে এয়ার ভাইস মার্শাল ও বিমান বাহিনীর প্রধান, ক্যাপ্টেন নজরুল হক, ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার, লেফট্যান্যান্ট মাসুদ, লেফট্যান্যান্ট মতিন এখানে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। তাঁদের সবার অংশগ্রহণে মুক্তাঞ্চলটির জন্ম হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা ও যৌথবাহিনীর দৃঢ়তা, দক্ষ পরিকল্পনা এবং প্রাণপণ যুদ্ধ তেঁতুলিয়া জনপদকে পাকিস্তান হানাদারদের হাত থেকে মুক্ত রাখে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে অন্যতম সক্রিয় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি’র কারণেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়াতে ঢুকতে পারেনি। মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়াকে দেখে মুক্তিবাহিনীর স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্ক্ষা উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়া থানা বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছিল। স্বাধীনতার সংগ্রামে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক, বিদেশি পত্রিকাগুলোর সংবাদকর্মীরা তাঁদের লেখার সূত্রে মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়ার পরিচিতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। মার্ক টালি তেঁতুলিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জব্বার-এর সঙ্গে কয়েকদিন ঘুরে ঘুরে ভজনপুর যুদ্ধক্ষেত্র দেখেছেন, সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। সবার সহযোগিতায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী’ হিসেবে সব কাজের কেন্দ্র, বাংলাদেশের মানুষের তীর্থে পরিণত হয়েছিল তেঁতুলিয়া। প্রবাসী সরকারের কাজের কেন্দ্র, সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অপারেশন ছড়িয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে। এই মুক্তাঞ্চল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই, প্রশিক্ষণ, অস্ত্রের জোগান ও সরবরাহ সহ সকল মহৎ, সাহসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তেঁতুলিয়ার তিন দিকে ভারতীয় সীমান্ত, ফলে সেসব দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানার পর পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী তেঁতুলিয়ার দিকে এগুতে পারেনি। সেখানে শেষ প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তাদের এগুনো ঠেকিয়েছেন। এ সময় তেঁতুলিয়ার সামরিক শক্তির সংখ্যা ছিল ৯৯২ জন। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল ইপিআর, অবশিষ্টদের মধ্যে কয়েকজন সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মুজাহিদ।
মুক্তাঞ্চল হিসেবে এই ৭৪ বর্গমাইলের মানুষের জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো ৯টি মাস তেঁতুলিয়া থেকে ভজনপুর পর্যন্ত একটি বাস চলত। মার্চ মাস নাগাদ বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের গতি ও হিংস্রতা বাড়লে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয়ে বাসটি বন্ধ করে দিলেও তেঁতুলিয়া থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত প্রবাসী সরকারের উদ্যোগে আবার বাস সার্ভিস চালু করা হয়। ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তাঞ্চলটির জীবন ছিল স্বাভাবিক। তাঁরা বিয়ে, সন্তানের খৎনা, আকিকাসহ সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান করেছেন। হাট-বাজারে কেনাবেচা হয়েছে। তেঁতুলিয়ার শালবাহানে নিয়মিত বড় বাজারের হাট বসেছে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মুদ্রায় কেনা-কাটা হয়েছে। বিরাট ও নিরাপদ এই মুক্তাঞ্চলে একাত্তরে বাংলাদেশের হাজার, হাজার মানুষ পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর থেকে পরিবার, পরিজন নিয়ে এসে বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। অনেকের অতিথি হয়েছেন। সরকারি ভবনে বিনা ভাড়ায় থেকেছেন। সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পরিবার ছাড়াও মে মাসের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার শরণার্থী তেঁতুলিয়ায় সমবেত হয়। তাঁরা স্কুল ও থানার মাঠ সহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। ভারতীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শরণার্থী শিবির চালু হলে অনেকেই সেখানে আশ্রয় নেয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও মুজিবনগর সরকারের সিভিল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম তাঁদের পরিচয় পত্র প্রদান করেন। যারা তেঁতুলিয়া ছেড়ে যাননি তাঁদের অভ্যন্তরীণ রেশন কার্ড দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে প্রথম দুই মাস বিপুল সংকট শরণার্থী, ইপিআর এবং তেঁতুলিয়া থানার ৫৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর খাদ্য বস্ত্রের ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণের সাহায্যে এবং ভারতে চলে যাওয়া বিহারীদের পরিত্যক্ত সম্পদ দ্বারা এই সমস্যা কিছুটা সমাধান করা সম্ভব হয়। নানা এলাকা থেকে আসা অনেক যুবক জীবিকা চালিয়েছেন দোকান চালু করে। স্থানীয়দের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধের খরচ হিসেবে হাটবাজার থেকে খাজনা আদায় করে সেই টাকা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অস্ত্র ও খাবারের তহবিলে জমা দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তেঁতুলিয়ার পরিবেশ-পরিস্থিতি শান্ত থাকায়, স্থানীয়দের কারও মনে ভয় ভীতি ছিল না। মাঝেমধ্যে বোমার শব্দ শোনা যেত, তাঁরা রেডিওতে মুক্তিযুদ্ধের খবর শুনতো, তেঁতুলিয়ার সড়কে দেখতো মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র হাতে চলাফেরা আর যুদ্ধের গাড়ি যাতায়াত। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তাঞ্চলের কোনো বাসিন্দার মনে ভয় ছিল না, তবে সকলে ওয়াকিবহাল ছিল দেশজুড়ে পাকিস্তানিদের বর্বরতার। স্থানীয়রা বুঝতো, কোনো বড় পরিবর্তন আসছে কোথাও। মুক্তিযুদ্ধের জন্য অনেকের সঙ্গে মিছিলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুলতো সাধারণ মানুষ। প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধের ভেতরেই তেঁতুলিয়ায় এসেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে বসে রেডিওতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ভাষণ শুনে তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘তার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, পাকিস্তানিদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে। ফলে জয় সুনিশ্চিত। ভাইয়েরা, আপনারা কেউ মনোবল হারাবেন না’। জুন মাসের ৯ তারিখে মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামরুজ্জামান উত্তরাঞ্চল পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তেঁতুলিয়া আসেন।
অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম -এর তত্ত্বাবধানে তরুণ সাংবাদিক এমদাদুল হক সাপ্তাহিক ‘সংগ্রামী বাংলা’ নামের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পত্রিকা তেঁতুলিয়া থেকে প্রকাশ করতেন। পত্রিকাটি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষকে খবর, তাঁদের জীবনের ছবি, আশা ও দেশের প্রতি ভালোবাসা জুগিয়েছে। তেঁতুলিয়া থানার পাশের এক লম্বা টিনের ঘর ছিল। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ফিল্ড হাসপাতাল ছিল। পঞ্চগড় থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও তেঁতুলিয়া থানা দাতব্য হাসপাতাল থেকে তাঁদের অল্প সুবিধায় ১০ শয্যার হাসপাতাল চালু করেছিলেন। থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সরকারি জিপ মুক্তিযোদ্ধারা অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করতেন। পঞ্চগড় চিনিকলের সরকারি চিকিৎসক আতিয়ার রহমান চিকিৎসক হিসেবে বড় কোনো অপারেশন না করতে হলে মুক্তিযোদ্ধাদের সব চিকিৎসা দিতেন। তাঁর নার্স ছিলেন–রোকেয়া বেগম, সালমা; সহকারী ছিলেন তফিজ, অ্যাম্বুলেন্স চালক ছিলেন ইউনুস আর হাসপাতালের টেকনিশিয়ান ছিলেন সেলিম রেজা। ভারতীয় ৫০ টাকার নোট তারা মাসে বেতন পেতেন। পরে যুদ্ধের তীব্রতায় আহতদের সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় বাড়ানো হয়েছিল। হাসপাতালে যুদ্ধের সময়ই ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন ডা. হাসিনা বানু ও ডা. শামসুদ্দিন দম্পতি।
মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অহংকার। উল্লেখ্য যে, আজ অবধি বাংলাদেশ সরকার তেঁতুলিয়াকে ‘মুক্তাঞ্চল’-এর সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
অবস্থানঃ ১৯৭১ মুক্তাঞ্চল ফলক পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের অমরখানা এলাকার চাওয়াই নদীর ব্রিজের পাশে অবস্থিত। সম্প্রতি সময়ে ব্রিজের অপরপাশে পঞ্চগড় মুক্তাঞ্চল পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।
…আরো পড়ুন পঞ্চগড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, বধ্যভূমি ও গণকবর | মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়া | পঞ্চগড়ের তালিকাভুক্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা | পঞ্চগড়ের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
Last updated: 23 April 2024