পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় কুচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর-এর নায়েবের তহসিল অফিস। এখান থেকেই এই অঞ্চলের প্রজাদের খাজনা আদায় করা হতো। তহসিল অফিসটি টিন ও কাঠের তৈরি দোতলা একটি ঘর। বর্তমানে (২০২২) এটি বয়সের ভারে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভবনটি এখন পরিত্যক্ত হলেও কোন রকমে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।
মোঘল শাসন আমলে শাসনকার্য পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাকে কতগুলো পরগণা বা চাকলায় বিভক্ত করা হয়। কুচবিহার মহারাজার রাজত্ব ছিল উত্তরে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে, পূর্বে পাটগ্রাম, দক্ষিনে বোদা দেবীগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃতি। চাকলার অভ্যন্তরের জমিদারির নামকরণ করা হয় চাকলাজাত এস্টেট। কুচবিহার মহারাজার চাকলাজাত এস্টেটের হেড অফিস ছিল বোদায়। এখান থেকেই খাজনা আদায়ের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো। খাজনা আদায়ের প্রধান কর্মকর্তাকে বলা হতো নায়েব। বোদা চাকলার কর্মরত নায়েবের নাম ছিল বৈদ্যনাথ। বৈদ্যনাথ নায়েব মহাশয় সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পালকিতে চলাফেরা করতেন। জনশ্রুতি আছে নায়েব বৈদ্যনাথকে সংক্ষেপে বৈদ্য বলে ডাকা হতো। কাল ক্রমে বৈদ্য শব্দ থেকে বোদা নামের উৎপত্তি বলে অনেকে মনে করেন। ডঃ বুকানন হেমিল্টনের বিবরণী থেকে জানা যায় যে, এই অঞ্চল খুবই উন্নত ছিল।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ একটু নজর দিলেই ঐতিহাসিক এই ভবনটি হয়ে উঠতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান। …Travel Tips | Accommodation | Tourist Spots
ছবিঃ The Traveller
Last updated: 15 February 2024