বারো আউলিয়ার মাজার শরীফ – Baro Aulia Shrine

বারো আউলিয়ার মাজার শরীফ - Baro Aulia Shrine

মির্জাপুর ইউনিয়ন, আটোয়ারী, পঞ্চগড়।

ম্যাপঃ Google Map
ফোন/মোবাইলঃ N/A
ফেসবুক পেজঃ N/A
ওয়েবসাইটঃ N/A

১২ জন অলি আউলিয়ার কবর বা মাজার নিয়ে গঠিত বারো আউলিয়ার মাজার শরীফ অথবা Baro Aulia Shrine। ‘অলি’ মানে হল বন্ধু বা আল্লাহর বন্ধু, অলি শব্দ থেকেই আউলিয়া শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ অভিভাবক। কয়েকশো বছর আগে ১২ জন অলি ও সুফি সাধক চট্টগ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুরে আসেন এবং এখানে আস্তানা গড়ে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। এই সুফি সাধকদের ওফাত বা মৃত্যুর পরে ওই স্থানে তাদের সমাহিত করা হয় এবং পরবর্তীতে এখানে গড়ে ওঠে বারো আউলিয়ার মাজার।

ইতিহাস হতে জানা যায় অত্র এলাকায় ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব বা প্রচার এই ১২ জন অলি আউলিয়ার হাত ধরেই শুরু হয়। বারো আউলিয়াদের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে।

বারো আউলিয়া মাজার শরীফটি মির্জাপুরের বারো আউলিয়া মৌজার প্রায় ৪৭ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ১২ জন আউলিয়াকে এই বিস্তীর্ণ ৪৭ একর জমির ১১ টি স্থানে সমাহিত করা হয়েছে।

মাজার শরীফে কবরে কোন প্রকার নামফলক না থাকার কারনে নিশ্চিত ভাবে কোনটা কার কবর তা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে মাজার শরীফ এলাকার কেন্দ্রে হেমায়েত আলী শাহ (রঃ) ও নিয়ামত উল্লাহ শাহ (রঃ) কবর দুটি পাশাপাশি একসাথে অবস্থিত, যা জোড়া কবর নামে পরিচিত। বার আউলিয়া ওলীদের আগমনের ইতিহাস বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেলেও ওলীদের ইতিহাস রহস্যাবৃত। এঁদের লিখিত কোন ইতিহাস আজও পাওয়া যায়নি।

বারো জন আউলিয়ার নামঃ যে ১২ জন আউলিয়া এই পবিত্র ভূমিতে শান্তিতে শায়িত আছেন তাঁরা হলেনঃ

(১) হেমায়েত আলী শাহ (রঃ)
(২) নিয়ামত উল্লাহ শাহ (রঃ)
(৩) কেরামত আলী শাহ (রঃ)
(৪) আজহার আলী শাহ (রঃ)
(৫) হাকিম আলী শাহ (রঃ)
(৬) মনছুর আলী শাহ (রঃ)
(৭) মমিনুল শাহ (রঃ)
(৮) শেখ গরীবুল্লাহ (রঃ)
(৯) আমজাদ আলী মোল্লা (রঃ)
(১০) ফরিজ উদ্দিন আখতার (রঃ)
(১১) শাহ মোক্তার আলী (রঃ)
(১২) শাহ অলিউল্লাহ (রঃ)

বারো আউলিয়ার মাজারের চারপাশে সবুজ শ্যামলে ভরা মাঠ, বিশাল পুকুর, সান বাঁধানো ঘাট, পাখির কোলাহল আর এসবের ফাঁকে ফাঁকে ছড়ানো ছিটানো ১২ জনের রওজা শরীফ।

  • ১২ জন আউলিয়ার কবর
  • ১টি দাখিল মাদ্রাসা
  • ১টি এতিমখানা
  • মাজার প্রাঙ্গণে জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত একটি কমপ্লেক্স বা ডাকবাংলো
  • ৪ টা পুকুর
  • ১ টি কাঁঠাল বাগান
  • ১টি ঈদগাহ ময়দান
  • ১টি মার্কেট
  • ২টি গোরস্থান
  • ১টি একটি স্কুল (বারো আউলিয়া হাই স্কুল)

 

বারো আউলিয়ার ইতিহাসঃ আটোয়ারীর মির্জাপুরে বারো আউলিয়াদের ইসলাম প্রচারের শুরুর সঠিক সময়কালটা জানা না গেলেও ধারণা করা হয় প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে তাঁরা এখানে এসে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পঞ্চগড় ইসলামের আলোতে উদ্ভোষিত হয়েছিল অনেক পরে, কিন্তু এর শুরুটা হয়েছিল আটোয়ারীতেই।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে জানা যায়, ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে সুদূর পারস্য, ইয়েমেন ও আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু সুফি সাধক, আধ্যাত্মিক পুরুষ ও জ্ঞান তাপসদের আগমন ঘটেছিল এই বাংলায়, সেই সময় সমুদ্র পথে বারো জন আউলিয়া এসে আস্তানা গড়েন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের সেই জায়গাটিও বারো আউলিয়া নামে প্রসিদ্ধ। ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারে কিংবদন্তিতুল্য খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রঃ)এর নির্দেশে তাঁরা পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম প্রচার শুরু করেন এবং পরবর্তীতে ইসলামকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বারো জন আউলিয়ার অন্যতম হেমায়েত আলী শাহ’র নেতৃত্বে টাঙ্গন নদীর পথে তৎকালীন ঠাকুরগাঁও এর বৌদ্ধ এবং হিন্দু অধ্যুষিত আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেন।

এই অঞ্চলটি তখন ছিল ঘন বনজঙ্গলে পরিপূর্ণ, ছিল হিংস্র জন্তুদের অভয়ারণ্য। সে সময়ে হিন্দু ব্রাহ্মণবাদী রাজাদের অপশাসনে নির্যাতিত এবং নিষ্পেষিত নিম্ন বর্ণ হিন্দুরা এই বারো জন আউলিয়ার ধর্মীয় মতাদর্শে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সুদূর মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলামের বাণী পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে আগত এসব অলি-আউলিয়াগন ছিলেন অকৃতদার, ইসলামের অমীয়বাণী প্রচারে এসে এখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলে তাদেরকে মির্জাপুরের এই স্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। একে একে বারো জন আউলিয়া কে এখানে সমাহিত করায় এবং পরবর্তীতে তাদের কবরে মাজার গড়ে ওঠায় এই স্থানের নামকরণ করা হয় বারো আউলিয়া।

ব্রিটিশ শাসনামলে জমিদারি প্রথা প্রবর্তিত হলে এই বারো আওলিয়া মৌজা রানীগঞ্জ স্টেট এর অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং এই স্টেটের জমিদারি লাভ করেন কলকাতার বাঙালি জমিদার বাবু রাজচন্দ্র দাস। ১৮৩৬ সালে রাজচন্দ্র দাসের অকাল মৃত্যু হলে এই জমিদারি লাভ করেন তাঁর স্ত্রী রানী রাসমণ, যিনি ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক এবং দেশপ্রেমিক। মানবতার কল্যাণে রানী রাসমণি এই স্টেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষনা করেন, ১৯৪০ সালে রানি রাসমনির ট্রাস্টটি শ্রী কানাইলাল দুলু গং ১২ জন অলি আউলিয়াদের নামে এখানকার ৪৭ একর ৭৯ শতক জমি ওয়াকফ করে দেন। একটি তামার পাত্রে বারো আউলিয়াদের নামে এই দানপত্রটি প্রস্তুত করা হয়, এই পাত্রটিতেই ১২ আওলিয়াদের নাম লিখিত আকারে উল্লেখ পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে কোন এক সময়ে সেই তাম্র পাত্রটি হারিয়ে গেলেও ইতিহাসে ১২ জন আউলিয়ার নাম স্মরণীয় হয়ে আছে।

সেই তামার পাত্রে মাজারের খাদেম হিসেবে উল্লেখ করা হয় বাসারত আলী শাহ এর নাম। খাদেম বাসরত আলী শাহ এর মৃত্যুর পর তার পুত্র সুলতান আলী শাহ ও হায়দার আলী শাহ মাজারের খাদেম হন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে অত্র এলাকার জমির রেকর্ড শুরু হলে খাদেম সুলতান আলী শাহ মাজারের পুরো ৪৭ একর ৭৯ শতক জমি উনার নিজের নামে রেকর্ড করেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত খাদেম গোষ্ঠীর লোকজন এই মাজার দেখাশোনা এবং ভোগ দখল করে আসছিলেন। ১৯৯/৯১ সনে মাজার সংস্করণ করার সময় যেসব পুরাতন চ্যাপ্টা আকৃতির ইট পাওয়া যায় তা কয়েকশত বছর পূর্বের দিল্লির সম্রাট শেরশাহর আমলের বলে ধারণা করা হয়।

বারো আউলিয়ার মৃত্যু কাল এবং পরবর্তীতে তাদের কবরগুলি ঘিরে তীর্থ সমাবেশ কবে থেকে শুরু হয় তা অজানা। তৎকালীন সময়ে স্থানীয় কিছু মানুষ ও খাদেমগণ বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার খুব স্বল্প পরিসরে ওরস পালন করতেন। হেমায়েত আলী শাহ (রঃ) ও নিয়ামত উল্লাহ শাহ (রঃ) এর জোড়া কবরের উপরে ছনের ঘর ছিল, ওরশের আগের দিনে কবরগুলি মাটি দিয়ে মোছা হতো। মাজারের পাশে একটি কাঠের বাক্স ছিল এই কাঠের বাক্সে ভক্তজনেরা টাকা পয়সা ফেলত। লোকমুখে শোনা যায়, ২টি বাঘ ও ২টি সাপ সবসময় এই মাজারটি পাহারা দিতো এবং কেউ খারাপ উদ্দেশ্যে বাক্সের টাকা-পয়সা নিতে আসলে বাঘ দুটি বের হতো। প্রচলিত আছে খাদেম বাসরত আলীর স্ত্রী মাজার পরিচর্যা করতে আসলে বাঘগুলি কিছুই করতো না। ১৯৯০ সালের পূর্ব পর্যন্ত জোড়া মাজারের উপরে একটি টিনের চৌচালা ঘর ছিল। তবে বর্তমান সময়ে সেই গভীর জঙ্গল, বাঘ বা সাপ কিছুই নেই, আছে শুধু বারো আওলিয়া মাজার শরীফ।

বারো আউলিয়া ওরসঃ প্রতি বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার এখানে ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।এই দিন ওয়াজ মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত এবং তবারক বিতরণ করা হয়। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ এই দিনে মাজারে এসে মানত করেন। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে অগনিত ভক্তের পদচারণায় মুখরিত থাকে ওরস মোবারকের দিনটি। তবে লক্ষণীয় যে, এই দিনে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সব ভেদাভেদ ভুলে, সকল ধরনের মানুষেরাই ওরস শরীফে আসেন।

১২ আউলিয়া মাজার শরীফের উন্নয়নে স্থানীয়ভাবে সর্বজন স্বীকৃত একটি ঘটনাঃ বার আউলিয়া মাজার সম্প্রসারণের বিষয়ে একটি বাস্তব ইতিহাস রয়েছে, যা হলো ১৯৯০ সালের দিকে পঞ্চগড় জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবুল বাশার আহাম্মদ একদিন জীপ গাড়ীতে বারো আউলিয়া মাজার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তার জীপ বন্ধ হয়ে যায়। অনেক চেষ্টার পরও জীপের ইঞ্জিন চালু না হওয়ায় স্থানীয় লোকজন মাজার শরীফ দেখিয়ে দেন। তিনি তাৎক্ষণিক ওযু করে মাজার জিয়ারত করেন। প্রার্থনা শেষে, গাড়ীতে বসলে বিনা ধাক্কায় গাড়ীর ইঞ্জিন চালু হয়। ঐদিন রাতেই তিনি ওলীদের দ্বারা স্বপ্নে বার আউলিয়া মাজার উন্নয়নের নির্দেশনা পান এবং পরের দিন সকালে আবার মাজার জিয়ারত করতে আসেন। সে সঙ্গে তার অসুস্থ দুই পুত্রের জন্য মানত করে মাজার উন্নয়নে এগিয়ে আসেন। তাঁর আহবানে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগে এবং প্রথমে তিনি বারো আউলিয়ার সরদার হেমায়েত আলী শাহ (রঃ) ও নিয়ামত উল্লাহ শাহ (রঃ) কবর দুটি পাশাপাশি একসাথে অবস্থিত হওয়ার কারণে এর উপর একটি পাকা দালান নির্মাণ করেন, যা জোড়া কবর নামে পরিচিত।

এরপর উপজেলার নলপুখুরী গ্রামের মোঃ খলিলুর রহমান অবশিষ্ট দশ জন ওলীর কবরের প্রতিটির চার পার্শ্বে দেওয়াল নির্মাণ করেন। ১৯৯২ সালে প্রাক্তণ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মরহুম মির্জা গোলাম হাফিজ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর মাজার উন্নয়নের জন্য নজর দেন। প্রথমে জমি নিয়ে মামলার মিমাংসা করে জমি তিনভাগে ভাগ করে দেন। পরে সেখানে বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যবস্থা করে দেন। মাজার তদারকির জন্য মির্জা গোলাম হাফিজ জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করে দেন। তাঁর প্রচেষ্টায় ৪৭ একর জমিতে মাজার কমপেক্স, মাজার, গোরস্তান, পুকুর ঘাট, মসজিদ, মাদ্রসা ও ডাকবাংলা নির্মিত হয়। তারপর থেকে ক্রমান্বয়ে ওরস বিস্তৃতি লাভ করে।

ওরশ মোবারক এর ভক্তদের সদগা এবং ৪৭ একর জমি থেকে উৎপাদিত ফসল বিক্রির টাকা থেকে মাজার শরীফটি পরিচালিত হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে জেলা প্রশাসকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাৎসরিক ওরশ, মাজার ব্যবস্থাপনা, মাজার উন্নয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি বছরে অনুষ্ঠিত ওরস মোবারকে স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য যেমন চাল, মুরগি, কবুতর, গরু ছাগল ইত্যাদি এবং নগদ অর্থমানত হিসেবে দান করেন।

১২ আউলিয়া মাজার শরীফের অবস্থানঃ মির্জাপুর ইউনিয়ন, আটোয়ারী, পঞ্চগড়।

কিভাবে যাবেনঃ বারো আউলিয়া মাজার শরীফেটি পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়কের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। পঞ্চগড় থেকে ১৫ কিলোমিটার এবং আটোয়ারী থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।

(১) পঞ্চগড় থেকে …বারো আউলিয়া মাজার শরীফে আসতে হলে প্রথমে পঞ্চগড় সদর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে (পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে চাইলে পঞ্চগড় সদর বাস টার্মিনাল থেকে আটোয়ারীর বাসে ৯ কিলোমিটার) মির্জাপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত আসতে হবে, এরপর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মির্জাপুর বাজার হতে ১ কিলোমিটার দক্ষিণে এগুলিই হাতের বাম পাশে মাজার শরীফের গেইট দেখতে পাবেন।

আটোয়ারী থেকে …আটোয়ারী উপজেলা থেকে পঞ্চগড়ের দিকে ৭ কিলোমিটার উত্তরে এগুলোই হাতের ডান পাশে মাজার শরীফের গেইট।

(২) বারো আউলিয়া মাজার শরীফের এই গেইট ধরে ঠিক ৩ কিলোমিটার পূর্বে এগুলোই বারো আউলিয়া মাজার শরীফ। Travel Tips | Accommodation | Tourist Spots

 


তথ্যসূত্রঃ Atwari Facebook Page
ছবিঃ Wayfarer Muhammad Musfiq
Last updated: 29th October, 2023

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn