আব্দুর রব পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। আব্দুর রব-এর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাঁর সর্বক্ষেত্রে উপস্থিতি, তাঁর রাজনৈতিক দর্শন, সততা এবং নেতৃত্ব অটোয়ারির ইতিহাসে একটি অবিনশ্বর যুগ হয়ে আছে।
আব্দুর রব ১৪ জুলাই ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শে উজ্জীবিত একজন উত্তরসূরী হিসেবে ১৯৫৮ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। আব্দুর রব ১৯৬২ সাল হতে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুর সুরেন্দ্রনাথ (এস এন) কলেজের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। জনাব রব ১৯৬২ সালে আইয়ুব খান-এর সামরিক শাসনামলে এনএসএফ সংগঠনের সঙ্গে এক সংঘর্ষে হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। আব্দুর রব ১৯৬৬ সাল হতে একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ সদস্য হন এবং তিনি সুদীর্ঘ সময় হতে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
জনাব আব্দুর রব -এর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ২টি উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। আব্দুর রব ১৯৮৬ সাল হতে মৃত্যুর আগ মুহুর্ত ১৫ আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত ৩৩ বছর আটোয়ারী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি আটোয়ারী উপজেলার ৬নং ধামোর ইউনিয়ন পরিষদে ৬ বার নির্বাচিত হয়ে ৩৬ বছর যাবত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া আব্দুর রব ২০ বছর পঞ্চগড় চিনিকল কেন্দ্রিয় আখচাষী সমিতির সভাপতি, ১০ বছর পঞ্চগড় আখচাষী সমবায় সমিতির সভাপতি, ১০ বছর পঞ্চগড় জেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব রব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বঙ্গবন্ধু ডাংগীর হাট মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমান সরকার জাতীয়করণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী বলেই স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯৭১ সালের ৪ আগস্ট পাকসেনারা আব্দুর রব-এঁর পিতা তসলিম উদ্দীন আহমেদ কে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং ১৯৭১ সালের ৬ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ডাংগীর হাট মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে।
আব্দুর রব ৭৬ বছর বয়সে ১৫ আগস্ট ২০১৯ সালে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
Last updated: 19 December 2023