আবুল হোসেন – Abul Hossain

বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আবুল হোসেন পঞ্চগড়ের কিংবদন্তী, বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। একজন অসাধারণ ক্রিয়া শিক্ষক হিসেবে তাঁর ত্যাগী এবং একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় অর্জিত হয় ক্রীড়াঙ্গনে উজ্জ্বল স্বর্ণালী বিজয়ের রণযাত্রা। খেলাধুলায় অবহেলিত তেঁতুলিয়া জনপদে তিনি মেধা, মনন ও ক্রিয়া নৈপুণ্য ঢেলে নিজ হাতে তৈরি করেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অর্ধশতাধিক খেলোয়াড়। তেঁতুলিয়া উপজেলাকে ক্রীড়াঙ্গনের ক্ষেত্রে হিমালয় উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

হ্যান্ডবল, ভলিবল সহ অন্যান্য খেলাধুলায় স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা, বিভাগীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব প্রাপ্তির পেছনের কারিগর আবুল হোসেন। অক্লান্ত শ্রম, সুদীর্ঘ প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের ভালো খেলোয়াড় হবার স্বপ্ন দেখিয়ে তা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন আবুল হোসেন। তাঁর পাঠশালায় গড়ে ওঠা মেয়েরা শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, দেশে পেরিয়ে বিদেশেও সেরা। আড়ালে থাকা প্রচারবিমুখ এই গুণী মানুষটি সম্পর্কে দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে অচেনা। নাছোড়বান্দা এই মানুষটির স্নেহ, মায়া, মমতায় যেসব মহিলা হ্যান্ডবল খেলোয়াড় গড়ে উঠেছে আজ তাদের অনেকেরই জীবন বদলে গেছে। জাতীয় দল সহ বিভিন্ন টিমে খেলে ও চাকরির সুবাদে অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত। দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, বর্গাচাষি বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দরিদ্র অসহায় পরিবারের এই মেয়েরা হয়েছেন স্বাবলম্বী। স্কুলের মেয়েদের খেলাধুলায় আনা, হাপপ্যান্ট পরে মেয়েদের হ্যান্ডবল খেলানোর অবাস্তবকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন আবুল হোসেন স্যার। সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বাঁধা উপেক্ষা করে তেঁতুলিয়ার মতো অনুন্নত এলাকায় নারী খেলোয়াড় সৃষ্টিতে বিস্মিত করেছেন সবাইকে।

পঞ্চগড়ের এই কৃতি ক্রীড়া সংগঠক আবুল হোসেন ১৯৫৪ সালের ১ জুলাই ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মুন্সি হাসান আলী এবং মাতা আমেনা খাতুন। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আবুল হোসেন ছিলেন মা-বাবার প্রথম সন্তান। তাঁর শৈশব শিক্ষা জীবন কাটে ময়মনসিংহ সদরের কুষ্টিয়া গ্রামে। আবুল হোসেন ১৯৬৩ সালে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে চলে আসেন তেঁতুলিয়ায়। শিশু আবুল হোসেন ৯ বছর বয়সে তেঁতুলিয়া পুরাতন বাজারে তাঁর পিতার মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। তেঁতুলিয়া এলাকার লাইব্রেরিয়ান আব্দুল হাকিম সিদ্দিকীর কথায় মিষ্টির দোকানের কাজ বাদ দিয়ে তিনি তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। মিষ্টির দোকানে কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকেন। এর কিছুদিন পর মায়ের অনুরোধে তেঁতুলিয়া থেকে আবার ময়মনসিংহের বিদ্যাগঞ্জে ফিরে যান এবং স্থানীয় বিদ্যাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করেন। পরবর্তীতে আবার তিনি পঞ্চগড় ফিরে তেঁতুলিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাফল্যের সাথে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেকের মতো কিশোর আবুল হোসেন যুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে তিনি দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত (অনার্স) -এ ভর্তি হলেও আর্থিক অসচ্ছলতা জনিত কারণে ১৯৭৭ সালে তাঁর অধ্যায়ন বন্ধ হয়ে যায়।

আবুল হোসেন ভলিবল, ব্যাডমিন্টন খেলেছেন, ছিলেন ফুটবলের রেফারি। তিনি ১৯৮৩ সালে তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে গণিত বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ছোটবেলা থেকে ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও ফুটবলের প্রতি আসক্তি এবং নিজেই একজন খেলোয়াড় হবার কারণে আবুল হাসান স্কুলে যোগদানের পরেই মেয়েদের খেলাধুলার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। সে সময়কালে প্রথম আন্তঃস্কুল মাদ্রাসা পর্যায়ে হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছিল। আবুল হাসানের হ্যান্ডবল সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। এলাকার দু’জন বিজিবি সদস্য রুহুল আমিন হায়দার ও আবুল কালাম আজাদ হ্যান্ডবল খেলতেন। তারা ছুটিতে বাড়িতে এসে মেয়েদের হ্যান্ডবল খেলার প্রশিক্ষণ দিতেন। সেই সুযোগে আবুল হোসেন হ্যান্ডবল খেলার কলাকৌশল, নিয়ম-কানুন ভালো করে আয়ত্ত্ব করে ফেলেন। বিজিবি সদস্য দু’জন কর্মক্ষেত্রে ফিরে গেলে নিজেই মেয়েদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব চালিয়ে যান আর নিজের স্কুলসহ আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেয়েদের হ্যান্ডবল খেলায় উৎসাহিত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মেয়েদের বাসায় বাসায় গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে মহিলা হ্যান্ডবল ও ভলিবল খেলোয়াড় তৈরির জন্য রীতিমতো লড়াই শুরু করেন। মেয়েরা দুয়েকবার বল ছুঁড়লেই তিনি বুঝতে পারতেন কাকে দিয়ে হ্যান্ডবল খেলা হবে, খুঁজে খুঁজে গড়ে তোলেন মহিলা হ্যান্ডবল দল। মাঠ নেই, খেলোয়াড় ও খেলার সরঞ্জামাদি নেই, এরমধ্যেই সকলকে একসঙ্গে নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। স্কুল ছুটির পর স্কুলের পাশে আম বাগানের বন্ধুর একখণ্ড মাঠে শুরু হতো মেয়েদের নিয়ে কঠোর অনুশীলন। আবুল হোসেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়েদের ও তাদের পরিবারের অভিভাবকদের বুঝিয়ে মাঠের প্রশিক্ষণে নিয়ে আসতেন। যাতায়াতের জন্য গাড়ি ভাড়া দিতেন, টিফিন খাওয়াতেন, মাঝে মাঝে হাত খরচ দিতেন, অসুখ-বিসুখ হলে নিজের ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ দিতেন। পরিবারের সদস্যদেরও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করতেন। সাবিনা নামের এক খেলোয়াড়কে তো নিজের মেয়ের বাইসাইকেলও দিয়ে দিয়েছিলেন।

এভাবে আবুল হোসেনের শত পরিশ্রমে একদিন পুরো হ্যান্ডবল ও ভলিবল টিম গঠন হয়। তাঁর গড়া দল বিভিন্ন খেলায় অংশ নেওয়া শুরু করে এবং প্রথম প্রথম পরাজিত হলেও মনোবল না হারিয়ে দৃপ্ত পথে এগিয়ে যায় । প্রথমদিকে জেলা পর্যায়ে দু-বার হেরে যায় তাঁরা। রংপুর উপ-অঞ্চলের প্রতিযোগিতাতেও ৪/৫ বার হেরে যায়। কিন্তু আবুল হোসেন ও তাঁর দল মনোবল হারায়নি। অবশেষে এসেছে জয় ও সফলতা। দলটি ২০০০ সালে জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ্যান্ডবলে রংপুর উপ-অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হয়। একই বছর জাতীয় মহিলা ভলিবল প্রতিযোগিতায়ও চ্যাম্পিয়ন হয় পঞ্চগড় জেলা দল। ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা ও জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় পঞ্চগড় জেলা দল। ২০০৬ সালের জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় আবারো চ্যাম্পিয়ন হয় পঞ্চগড় জেলা দল। একবার দু-বার নয়, জাতীয় পর্যায়ে হ্যান্ডবলে ৯ বার চ্যাম্পিয়ন হয় পঞ্চগড় জেলা দল। জাতীয় পর্যায়ে ভলিবলে দু-বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। অসংখ্যবার রানার্সআপ হয়েছে তাঁরা। ২০১১ সালে কলকাতায় ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হ্যান্ডবলের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। সেখানে বাংলাদেশের ১৪ জনের দলের মধ্যে ১১ জন খেলোয়াড়ই ছিল তেঁতুলিয়া কাজী শাহাবুদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেয়ে।

পঞ্চগড় জেলা মহিলা হ্যান্ডবল ও ভলিবল দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই আবুল হোসেনের একান্ত প্রশিক্ষণের ফসল। এ পর্যন্ত আবুল হোসেনের তৈরি ১০/১২ জন খেলোয়াড় জাতীয় হ্যান্ডবল দলের হয়ে দেশ-বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। শুধু তেঁতুলিয়া নয়, পঞ্চগড় জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে আবুল হোসেনের দলের মেয়েরা সগৌরবে নেতৃত্ব দিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে তেঁতুলিয়ার মেয়েরা। তেঁতুলিয়া থেকে জাতীয় হ্যান্ডবল দল, বিজেএমসি, আনসার ও পুলিশ বাহিনীসহ দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন দলে শতাধিক খেলোয়াড় স্থান করে নিয়েছে। তাঁর আশির্বাদেই কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ হ্যান্ডবল, ভলিবল, কাবাডি, ফুটবল, ক্রিকেট, সাইক্লিং, তায়াকান্দো, উশু, শুটিংসহ সব খেলাতেই হয়ে উঠেছে পারদর্শী। তেঁতুলিয়া উপজেলার অসচ্ছল দরিদ্র পরিবারের সন্তান রওশন আক্তার বুলু, শাহীদা খাতুন, রোকসানা আক্তার, মালেকা বেগম, শিল্পী আক্তার, ঝর্ণা আক্তার, রাজিয়া সুলতানা, শিউলি পারভীন, সুমি আক্তার, সুশিলা, তৃপ্তি, হাবিবা আক্তার রূপা, শিরিনা আক্তার, শাহিনা আক্তার, ফাতেমা খাতুন, নিশি, ময়না, রুবিনা আক্তার, রহিমা খাতুন, কহিনুর আক্তার, মাসুদা বেগম, হোসনে আরা পারভীন, শিফা আক্তার, শারমীন আক্তার রুমি, নাজিরা খাতুনরা নিজ নিজ খেলায় হয়েছেন প্রতিষ্ঠিত। আবুল হোসেন ছাত্রীদের খেলাধুলা শিক্ষার পাশাপাশি এলাকার ছেলেদেরও হাতে কলমে নানান খেলাধুলা শেখার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন।

জনাব আবুল হোসেন ২০১৬ সালের জুলাই মাসে শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করার পরও স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে স্থানীয়ভাবে হ্যান্ডবল, কাবাডি, ভলিবল ও অ্যাথলেটিক্স ছাত্রীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। ২০১৮ সালে কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে যোগ দেন জনাব আবদুস সালাম। আবুল হোসেনের পথ ধরে তিনিও খেলোয়াড় তৈরিতে মগ্ন হয়ে পড়েন। এরই ধারাবাহিকতায় তেঁতুলিয়ার মেয়েরা তাঁদের সাফল্য ধরে রেখেছে।

বাংলাদেশ পুলিশ নারী হ্যান্ডবল দলের ২০১৮ সালের অধিনায়ক রুবিনা আক্তার, বিজেএমসির অধিনায়ক শিরিনা আক্তার আর আনসারের অধিনায়ক নিশি আক্তারও ছিলেন আবুল স্যারের হাতে গড়া সেই কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা স্কুলের খেলোয়াড়। শিরিনা ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হ্যান্ডবল দলেরও অধিনায়ক। শিরিনা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় দৌড়ে প্রথম হয়েছিলেন। এই দৌড় দেখে তাঁকে নিজেদের শাহাবুদ্দিন স্কুলে জোরাজুরি করে ভর্তি করান আবুল হোসেনই। তাঁর ছোঁয়ায় শিরিনা হয়ে ওঠেন হ্যান্ডবল খেলোয়াড় আর জাতীয় দলের অধিনায়ক। এ ছাড়া হ্যান্ডবলে ক্যারিয়ার শুরু করা তেঁতুলিয়ার ফারজানা আক্তার রুমি খেলা বদলে আবুল স্যারের পরামর্শে নাম লেখান তায়কোয়ান্দোয়। সেই ফারজানা সাফ গেমসে সোনা এনে দিয়েছেন বাংলাদেশকে।

২০২১ সালে ওয়ালটন অনূর্ধ্ব–১৬ হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের মেয়েরা জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২২ সালের ৪৯তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ্যান্ডবলে (বালিকা) জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের দল। ২০২২ সালের আগস্টে তুরস্কের কোনিয়ায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশ নারী হ্যান্ডবল দলের যে ১৬ জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের আটজনই ছিলেন কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী।

…আরো পড়ুন পঞ্চগড়ের অন্যান্য স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ


তথ্যসূত্রঃ এম এ বাসেত | তেঁতুলিয়ার ইতিহাস ও পর্যটন শিল্প
ছবি ও ভিডিওঃ প্রিয়লেখা
Last updated: 1 June 2024

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn