শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল কাদের মিয়া – Abdul Quader Miah

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল কাদের মিয়ার নাম লেখা রয়েছে এক অবিনশ্বর অধ্যায়ে। তিনি ১৯৭১-এ পঞ্চগড় (তৎকালীন দিনাজপুর) জেলার দেবীগঞ্জ থানায় ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকেই তিনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ আবদুল কাদের মিয়ার নেতৃত্বেই দেবীগঞ্জ থানা ও আনসার ক্লাবের সামনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। অনুগত পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল কাদের মিয়া

সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ আবদুল কাদের মিয়ার আত্মত্যাগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত। তাঁর বীরত্ব, ত্যাগ এবং সাহসিকতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়কে চিরজাগ্রত করে রেখেছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা, অস্ত্র সরবরাহ এবং স্থানীয় হিন্দু পরবিবারের নিরাপত্তা দিয়ে ভারতে যাওয়ার সহযোগিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ২৭ মার্চ তিনি দেবীগঞ্জ থানায় বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি ঘোষণা দেন, ‘এখন থেকে দেবীগঞ্জ স্বাধীন‘ এই ঘোষণার পর তিনি তরুণ-যুবকদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতে থাকেন, মুক্তিকামী যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থানার অস্ত্রশস্ত্র তাঁদের হাতে তুলে দেন এবং নিজেও যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

আবদুল কাদের মিয়া বিভিন্ন সময়ে ভারত ও মুজিবনগর সরকারের সাথে যোগাযোগ স্থাপনার মাধ্যমে পঞ্চগড়ে একটি শক্তিশালী গেরিলা মুক্তিবাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ও অস্ত্র গোলাবারুদ সরবরাহ করতেন। পঞ্চগড়ের মুক্তিবাহিনী বিভিন্ন সময়ে অতর্কিতে আক্রমণ করে পাকবাহিনীকে পর্যদুস্ত করে তোলে। তাঁদের এই সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিবাহিনীর লোকবল বেড়ে যায় আর অন্যদিকে পাকবাহিনীর মনোবল ক্রমে দুর্বল হতে থাকে। ৩১ মে যুদ্ধের জন্য আরও অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তিনি সীমান্তের ওপারে হলদিবাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে, পাকবাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওসি আবদুল কাদের ও তাঁর বাহিনীকে থামানোর তাগিদে, তাঁদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। আবদুল কাদের মিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সশস্ত্র যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে দুজন যোদ্ধা নিহত ও তিনিসহ কয়েকজন আহত হন। তাঁর দল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আহতাবস্থায় তিনি কোনোরকমে তাঁর বাড়িতে (দেবীগঞ্জ কর্মস্থলের বাসস্থান) এসে পৌঁছান।

এলাকার পাকিস্তান-সমর্থক শান্তি কমিটির লোকেরা আবদুল কাদের মিয়ার বাড়িতে আসার খবর জেনে যায়। তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে খবরটি জানিয়ে দেয়। শান্তি কমিটির নেতৃত্বে ছিল মাছির উদ্দিন এবং উল্লেখযোগ্য অন্যান্যরা ছিল হানিফ মাস্টার, শওকত আলী, হামিদার রহমান বসুনিয়া, রহমান কমান্ডার, আব্দুল আজিজ। পরদিন পাকসেনারা আবদুল কাদের মিয়াকে আটক করে। তথ্য সংগ্রহের জন্যে তাঁর উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। অবর্ণনীয় নিপীড়ন করেও পাকবাহিনী কোনো প্রকার তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়ে ১ লা জুন, ১৯৭১-এ ব্রুজেরডাঙ্গা (ভূষিরবন্দর) নামক স্থানে জাতির এই সূর্য সন্তানকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে চলে যায়। আবদুল কাদের হত্যা করা হলে উল্লেখ শান্তি বাহিনী ও রাজাকারেরা আবদুল কাদের মিয়ার বাড়িতে আগুন দেয়, তাঁর পরিবারকে দেশ ছাড়া করে। শহীদ আবদুল কাদের পরিবার দেবীগঞ্জ থানা কোয়ার্টার ছেড়ে রামগঞ্জ বিলাশী নামক গ্রামে অবস্থান গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হবার পরে ব্রুজেরডাঙ্গায় (ভূষিরবন্দর) আবদুল কাদের মিয়ার জুতা, মোজা, আংটি ও কলম পাওয়া গিয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম উৎসর্গকারী এই বীর শহীদ দেবীগঞ্জ থানা সদর ইউনিয়নের উপেনচৌকি ভাজনী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে চিরনিদ্রায় সায়িত আছেন।

এ ঘটনাগুলোর বিবরণ পাওয়া যায় শহিদ বুদ্ধিজীবী আবদুল কাদের মিয়ার কন্যা নূরজাহান বেগমের স্মৃতিকথা ‘আমার বাবা‘ রচনা থেকেঃ

‘আহত অবস্থায় পালিয়ে বহুকষ্টে বাবা আমাদের বাসার কাছাকাছি এক ভদ্রলোকের বাসায় আশ্রয় নেন। আমি তাঁর নাম জানি না। সেই হৃদয়বান ব্যক্তি নিজ হাতে রাতে বাবার ক্ষতস্থানগুলো গরম পানি, ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করেন। একজন গ্রাম্য কবিরাজ ডেকে এনে কি কি লতাপাতা বেটে ক্ষতস্থানে প্রলেপ দিয়ে কাপড় দিয়ে বেঁধে দিয়েছিলেন। তারপর বাবার অনুরোধেই গভীর রাতে বাবাকে সাইকেলের সামনে বসিয়ে আমাদের কাছে পৌঁছে দেন। কে জানত এই আসাই বাবার শেষ আসা হবে!

‘বাবাকে আহত অবস্থায় দেখে আমি চিৎকার করে কেঁদে উঠি। মা আমাকে ধমক দিয়ে চুপ করে দেন। ছোট ভাইবোনরা ঘুমিয়ে ছিল। মাকে দেখে মনে হয়েছিল বাবা আসাতে তিনি মোটেই খুশি হননি। মা অস্থির হয়ে এক নিঃশ্বাসে বললেন, “তোমার এখানে না এলেই ভালো হতো। আমি না তোমাকে বারণ করে দিয়েছিলাম। এখন আর্মিরা যদি জেনে ফেলে তুমি এসেছ, তাহলে কি হবে বলো, তুমি চলে যাও, চলে যাও এখান থেকে।” বাবা উত্তরে বললেন, “তোমরা যদি মরে যাও, আমার বেঁচে থেকে কি হবে।

বরং চলো আমরা সবাই ভোরে অন্য কোথাও চলে যাই। মরলে সবাই একসঙ্গে মরব, বাঁচলে একসঙ্গে।” মা বললেন, “আমাদের নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না। তুমি মুক্তিযোদ্ধা। শত্রুরা জানতে পারলে তোমাকে বাঁচতে দিবে না।” ‘অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন বাবা। টুকটাক ওষুধ ও সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই তখন ছিল না।

ভোর না হতেই যমদূতের মতো তদানীন্তন পিস কমিটির সেক্রেটারি আরো ২-১ জনকে সঙ্গে করে এসে বাবাকে ডাক দেয়। ওরা খোঁজ-খবর নিয়েই এসেছে। তারপর সাড়ে আটটা-নয়টা হবে। আমি দরজা খুলে সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়েছি। বাইরে তাকিয়ে দেখি লোকজন দৌড়ে পালাচ্ছে।

আমি চিৎকার দিয়ে জিজ্ঞেস করি, কি হয়েছে? একজন বলে, “মেলিটারি, মেলিটারি।” আমি দৌড়ে গিয়ে মাকে বলি, মা, মিলিটারি এসে গেছে। ‘মা আমাকেসহ বড় মেয়েদেরকে বাসা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে বললেন। আমরা বাসা ছেড়ে অন্য একটা বাসায় গেলাম। পরে শুনেছি বাবা বহুকষ্টে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আমার ক্লাসমেট ফারজিনাদের বাসা যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের বাসার সামনে আর্মিদের জিপ থামে।

কিছুক্ষণ পর কে যেন বাবাকে মিথ্যা সংবাদ দেয়, “আপনার বৌ-ছেলেমেয়েদের আর্মিরা ধরে নিয়ে যাচ্ছে।” কোনো পুরুষ মানুষ এ সংবাদ শুনে চুপ থাকতে পারে না। আমার যুদ্ধাহত বাবাও চুপ থাকতে পারেননি। তিনি তখন যান বাসায়। বাবাকে দেখতে পেয়েই হানাদার বাহিনী টেনেহিঁচড়ে তাঁকে নিয়ে যায়। সেদিন ছিল ১ জুন, রোজ মঙ্গলবার।’

জনাব আবদুল কাদের মিয়া’র জন্ম ১৯৩০ সালের ১ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার জামিরতা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা কসিম উদ্দিন আহমেদ এবং মা আমেনা খাতুন। দুইভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন পিতা-মাতার ৩য় সন্তান। আবদুল কাদের প্রথমে জামিরতা প্রাইমারি স্কুল, জামিরতা এইচ.ই স্কুল ও দিনাজপুর সরকারি কলেজে শিক্ষা গ্রহণ করেন।

আবদুল কাদের মিয়া ১৯৪৮সালে রংপুর জেলায় কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। তারপর তিনি ১৯৫০ সালে সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর এবং ১৯৫১ সালে সাব-ইন্সপেক্টর পদে উন্নীত হন। আবদুল কাদের মিয়া ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে বিয়ে করেন। ১৯৭০ সালে তিনি ইন্সপেক্টর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। কর্মজীবনে তিনি রংপুর জেলার কোতোয়ালি, সৈয়দপুর, উলিপুর, ডিমলা, পাটগ্রাম, চিলমারী,কুড়িগ্রাম, বদরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, পীরগাছা এবং গোবিন্দগঞ্জ থানায় নিযুক্ত ছিলেন। ৫ পুত্র ও ৪ কন্যা সন্তানের জনক আবদুল কাদের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান ব্যক্তি এবং কর্মক্ষেত্রে নিষ্ঠাবান।

তাঁর জ্যৈষ্ঠ কন্যা নিজে চিরকুমারী থেকে সংসারের হাল ধরেন এবং ভাই-বোনদের প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীতে আবদুল কাদের মিয়ার চার সন্তান উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা হন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ মহান মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে এককালীন দু’হাজার টাকা প্রদান করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে আবদুল কাদের মিয়ার অসামান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর ১৯৯৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শহিদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাঁর স্মরণে দুই টাকার স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। শহীদ পরিবার এজন্য সরকারের কাছে চির কৃতজ্ঞ।

শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল কাদের মিয়া স্মারক ডাকটিকিট

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য দেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছিলেন, তাঁদের স্মরণে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স-এ নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধের নাম ফলকে তৎকালীন দিনাজপুর জেলার ৪ নং ক্রমিকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মিয়ার নাম অঙ্কিত রয়েছে।

পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্সের একটি রাস্তা ‘শহীদ আবদুল কাদের জগিং ট্র্যাক’ নামকরণ করা হয়। ২৬ মার্চ ২০০৭ সালে পঞ্চগড় জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার হারুন আর রশিদ এই জগিং ট্রাকের উদ্বোধন করেন। জগিং ট্রাকটির দৈর্ঘ্য ০.৪ কিমি। ২০০৮ সালের ২৩ জুন পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়। এছাড়া দেবীগঞ্জের তিস্তার হাটের জনগণের উদ্যোগে শহীদের স্মরণে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।

দেবীগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুল কাদের এর নামে একটি ফলক স্থাপন করা হয়েছে। ২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন উপদেষ্টা জনাব এইচ টি ইমাম শহিদের নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানাধীন ডায়া থেকে জামিরতা পর্যন্ত সড়কটি সরকারিভাবে ‘শহীদ আবদুল কাদের মিয়া সড়ক‘ নামে নামকরণ করা হয়। ২০১৪ সালে তৎকালীন পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল কালাম আজাদ পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্সের অভ্যন্তরে এম আই সেন্টারের সামনে দেয়ালে শহীদ আব্দুল কাদের মিয়ার প্রতিকৃতি স্থাপন করেন। এই প্রতিকৃতি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন পঞ্চগড় জেলার সাবেক পুলিশ সুপার শাহরিয়ার। বর্তমানে এম আই সেন্টারের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ আবদুল কাদের মিয়া এম আই সেন্টার

পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে পঞ্চগড় জেলার পুলিশ লাইন্সের অভ্যন্তরে শহীদ আবদুল কাদের মিয়ার স্মরণে শহীদ আবদুল কাদের মিয়া স্মৃতি পাঠাগার স্থাপিত করা হয়। ২০ মার্চ ২০২২ সালে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্ট্যাচার্য্য পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন। ২০২২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে।

প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস, বুদ্ধিজীবী দিবস এবং বিজয় দিবসে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহিদ বুদ্ধিজীবী আবদুল কাদের মিয়ার কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অবিনশ্বর নায়ক আবদুল কাদের মিয়ার গল্প নিয়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে অর্জন ৭১ নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করা হয়েছিল। এ সিনেমায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন শতাব্দী ওয়াদুদ। আর তাঁর স্ত্রী ফিরোজার ভূমিকায় অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন ফজলুর রহমান বাবু, দিলারা জামান। চলচ্চিত্রটির পরিচালনায় ছিলেন মির্জা সাখাওয়াত হোসেন।

…আরো পড়ুন পঞ্চগড়ের অন্যান্য স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ | মুক্তাঞ্চল তেঁতুলিয়া


তথ্যসূত্রঃ নূরজাহান বেগম | রাশেদুর রহমান | রশীদ হায়দার | ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিউজ পোর্টাল | আকরাম হোসেন রিপন | আল ফরিদ । দাঁড়িয়ে আছি গৌরবে
Last updated: 5 April 2025

Share:

Facebook
Twitter
Pinterest
LinkedIn