পঞ্চগড়ের অভিভাবক প্রবীণ ব্যক্তিত্ব সমে আলী আহম্মেদ ছিলেন পঞ্চগড়ের বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং পঞ্চগড় মহকুমা ও জেলা আন্দোলনের রূপকার। তিনি একাধারে ৩০ বছর ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ছিলেন নজরুল পাঠাগারের সাবেক সাধারন সম্পাদক। সমে আলী আহম্মেদ পঞ্চগড় চিনিকল ও রেলওয়ে লাইন রুহিয়া থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত আনার ক্ষেত্রে রেখেছেন ঐতিহাসিক ভূমিকা।
পঞ্চগড়ের প্রায় সকল জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমে আলী কাজ করেছেন, সমাজ পরিবর্তনে সেই গমির উদ্দিন প্রধান, মির্জা গোলাম হাফিজ, এড. সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার হতে হাল আমলের সকলের সাথে কাজ করার বিশাল অভিজ্ঞজন ছিলেন সমে আলী। কর্মদক্ষতার গুণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এতদ অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয়, জনপ্রিয় প্রবীন ও কর্মবীর।
পঞ্চগড়ের অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাতে রয়েছে তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং বীরোচিত আত্মত্যাগ। বিপিস্কুল, এম আর কলেজ, মহিলা কলেজ, গার্লস স্কুল, আবেদা হাফিজ স্কুল সহ পঞ্চগড়ের প্রায় বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তাঁর অবদান। জনাব সমে আলী ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
সদা হাস্যোজ্বল ও উচ্ছ্বল প্রানবন্ত সমে আলী আহম্মেদ ২১ অক্টোবর ২০২৩ সালে পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের নিজ বাসভবনে অসুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
পঞ্চগড় সুগার মিল,পঞ্চগড় জেলা প্রতিষ্ঠায় সমে আলী’র নাম পঞ্চগড়ের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। পঞ্চগড় মহকুমা বাস্তবায়নের দাবীতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, অগণিত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়াসে সর্বদাই নিবেদিত সেবক ছিলেন সমে আলী। সামাজিক অঙ্গনে নিঃস্বার্থ ভাবে জনকল্যাণে নিয়োজিত থেকে অগ্রণী সমাজ সেবকের দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে পঞ্চগড়ের ইতিহাসে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন সমে আলী আহম্মেদ।
তথ্যসূত্রঃ মির্জা লিও
Last updated: 8 November 2023